ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে বেকার তরুণরা!

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১১-০৩-২০২৫ ০৫:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১১-০৩-২০২৫ ০৫:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন
​চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে বেকার তরুণরা! ​ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়ন ছাড়াই চাকরি! শুধু দরকার শিক্ষাগত যোগ্যতা। মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই পরদিন থেকে শুরু হবে বহু কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবন। আছে বিনামূল্যে থাকা খাওয়ার সুযোগও। বেকারত্বকে পুঁজি করে চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে অনলাইন-অফলাইন মাধ্যম। প্রতারণার এমন ফাঁদে কেন পা দিচ্ছে চাকরি প্রত্যাশীরা?

শহরের দেয়াল জুড়ে লোভনীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। যেকোনো শিক্ষাগত যোগ্যতায় চাকরির সুযোগ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কেউ কেউ দিচ্ছেন বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার সুযোগও। একই ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। প্রতিযোগিতার বাজারে চাকরি কীভাবে ধরা দেয় এতো সহজে? এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চাকরির খোঁজে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে পৌঁছালে প্রাথমিকভাবে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা চাওয়া হয়। আশ্বাস, টাকা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত চাকরি। লাগবে না ইন্টারভিউ, অভিজ্ঞতা বা কোনো ধরনের বাছাই পরীক্ষা।
 
সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, নেয়া হবে না তেমন কোনো পরীক্ষা। শুধু আলোচনার ভিত্তিতেই মিলবে চাকরি। নারীদের উচ্চতা বেশি হলেই মিলবে চাকরি। শুরুতেই বেতন মিলবে ১২ হাজার টাকা। শুধু অফিস খরচ হিসেবে দিতে হবে সামান্য টাকা। তবে টাকার বিনিময়ে চাকরি নিতে আপত্তি জানালেও চাকরি দিতে মরিয়া হয়ে খোঁজ নিতে থাকে প্রলোভন দেখানো চক্র। তারা বলেন, অফিস খরচ হিসেবে দিতে হবে টাকা। দিলেই মিলবে চাকরি।
 
স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা অভিযোগের তীর তাদের দিকে। স্থানীয়রা জানান, এসব চক্র কখনোই ভুক্তভোগীদের আসল ঠিকানা দেয় না। ফলে বিড়ম্বনায় পড়ে স্থানীয় মানুষরাও। তবে চাকরি পাওয়া যেখানে সোনার হরিণ পাওয়ার মতো বিষয় সেখানে সকালে টাকা দিলেই বিকেলে জয়েনিং! কিংবা আজ টাকা দিলে কাল থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি নিশ্চিত। আবার থাকা খাওয়াও বিনামূল্যে। এমন ফাঁদে কেন পা দিচ্ছে তরুণ সমাজ? উত্তরে উঠে আসে বেকারত্বের কষাঘাতে পিষ্ট হওয়ার বিবর্ণ গল্প। তরুণরা জানান, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন এসব বিজ্ঞাপনের দিকে।
 
সরকারি হিসাবে, বছর ব্যবধানে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ঠেকেছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি করে বেকারত্বের লাগাম টেনে ধরা গেলেই কেবল কমবে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার সুযোগ।
 
বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়াকে ঘিরে। কিন্তু সরকার কত চাকরি দিবে? তাই গ্র্যাজুয়েট তরুণদেরকে বিদেশের বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে। দেশেও তৈরি করতে হবে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান।
 
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ